সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন

গলাচিপায় লঞ্চ ঘাট আছে, প্লাটুন নেই!

ডেস্ক রিপোর্ট Sadhin BanglaTV
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২০
  • ৭১৪ সময় দর্শন

সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশী হলেও জীবনের তাগিদে জীবন ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কর্মস্থলে যেতে হয় দশমিনা, রাঙ্গাবালী ও গালাচিপা উপজেলার জনসাধারণের। এ যেন জীবন যুদ্ধে হেরে না যাওয়ার প্রতিযোগিতা। দৃশ্যটি দশমিনা উপজেলার আওলিয়াপুর লঞ্চঘাটের। প্রতি বর্ষার মৌসুমে এভাবেই জীবন ঝুঁকি নিয়ে নদীর পাড়ে প্লাটফরম না থাকায় প্রতিদিন নিজ নিজ কর্মজীবনে ফিরে যেতে পারি দিতে হয় কর্মজীবী মানুষের।

কিন্তু বর্ষা আর বন্যাজলের আঘাতে নির্দিষ্ট স্থানের লঞ্চঘাটের প্লাটফরমটি ডুবে গিয়ে ভূগান্তিতে পরতে হয় তিন উপজেলার জনসাধারণের। সরজমিনে দেখা যায়, নির্দিষ্ট স্থানে লঞ্চ ঘাটের প্লাটফরমটি ভারি বর্ষা আর প্রবল ঝড়হাওয়ার ঢেউয়ের আঘাতে বহুদিন যাবত নির্দিষ্ট স্থানেই ডুবে আছে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌ- পরিবহন কর্তৃপক্ষের প্লাটফরমটি। দেখার যেন কেউ নেই।

আওলিয়াপুর লঞ্চ ঘাটের স্থানীয় জনসাধারণ ও যাত্রীদের কাছ থেকে জানা যায়, রাঙ্গাবালী, দশমিনা ও গালাচিপা এই তিন উপজেলার জনসাধারণের জন্য লঞ্চে করে চাদঁপুর হয়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার স্বল্প খরচে এক মাত্র যাতায়াত ব্যবস্থা হলো এই লঞ্চ। যা প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে চার হাজার যাত্রী এলাইনে জীবন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে।

নির্দিষ্ট স্থানে প্লাটফরম থাকলেও বহুদিন ধরে এভাবেই পানিতে ডুবে আছে। যার ফলে প্রতিদিন পানিতে ভিজে মালা-মাল নিয়ে প্রতিযোগিতা করে লঞ্চে উঠতে হয়। যার কারণ প্রতিদিনেই কোন না কোন অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনায় পড়তে হয় যাত্রী সাধারণের।

দূর্ভোগের বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দিন প্রতিবেদককে বলেন, বহুদিন যাবত লঞ্চঘাটি ডুবে যাওয়ায় জনসাধারণ বা যাত্রীদের দূর্ভোগ শেষ নাই। পানিতে নেমে ভিজে নারী’ পুরুষ বৃদ্ধা ও শিশুদের জীবন ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে উঠতে হয়। এ যেন জীবন মরনের প্রতিযোগিতা। খুব দ্রুতই লঞ্চঘাটের প্লাটফরমটি জরুরী। আর তা না হলে প্রতিদিনেই ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত বড় ধরনের দূর্ঘোটনা।

এবিষয়ে ঘাট ইজারাদার মোঃ আনিস সর্দার বলেন, সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে লক্ষ টাকা ব্যয় করে বরাদ্ধ নিয়েছিলাম। কিন্তু লঞ্চঘাটের প্লাটফরম না থাকার কারনে যাত্রীদের কাছ থেকে ঘাট টিকিট দিতে পারছি না। যার কারনে প্রতিদিনেই হাজার হাজার টাকার লোকসান হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের কোন খোঁজ খবর’ই নেই। যোগাযোগ করলে দায়সারা উত্তর। এছাড়া মেরামতের করার মত কোন কিছুই মিলছে না।

এবিষয়ে আজ পটুয়াখালী অভ্যান্তরীন নৌ- পরিবহণ বন্দর পোর্ট অফিসার খাজা মোঃ সাদেকুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন, আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের বিষয়টি আমি সরজমিনে গিয়ে দেখেছি। জনসাধারণ এবং যাত্রীদের দূর্ভোগে চিত্রটি দু্ঃক্ষজনক হওয়ায় খুব দ্রুতই ঐ স্থানে নতুন প্লাটুন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশা করছি আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই যাত্রীরা নতুন প্লাটুন ব্যবহার করতে পারবেন।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

স্বত্ব © ২০২৩  sadhinbangla.tv 

Download App Sadhin Bangla TV News

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
raytahost-tmnews71